, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রথম তারাবিতে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লির ঢল

  • আপলোড সময় : ১১-০৩-২০২৪ ১২:২৯:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৩-২০২৪ ১২:২৯:১৬ অপরাহ্ন
প্রথম তারাবিতে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লির ঢল
এবার আল-আকসায় তারাবিহ পড়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ফিলিস্তিনবাসীর মনে। কারণ, রমজান মাস শুরু হলেই আল-আকসায় মুসুল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নীপিড়ন বেড়ে যায়। এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। প্রথম তারাবিহতে পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকে নজর ছিল সবার। সব বাধাবিপত্তি, শঙ্কা আর ভয়-ডর পরোয়া না করে হাজারো মুসুল্লি তারাবিহর নামাজ আদায় করেন ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায়।

এ সময় উপস্থিত ছিল নারী-শিশুরাও। যথাসময়ে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো ৪০ বছরের নিচে কাউকে আল-আকসায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এদিকে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েরি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না। এ ছাড়া গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
সর্বশেষ সংবাদ
হামাসকে ইসরাইলের ‘উদার’ প্রস্তাব মেনে নিতে বললেন ব্লিঙ্কেন

হামাসকে ইসরাইলের ‘উদার’ প্রস্তাব মেনে নিতে বললেন ব্লিঙ্কেন